
আমিনুল ইসলাম,প্রতিবেদক-
দীর্ঘ সময়ে রাজনৈতিক সংগ্রাম, শিক্ষকতা পেশায় দায়বদ্ধতা, দলের প্রতি অটুট আনুগত্য আর জনগণের জন্য নিরলস পরিশ্রম সব মিলিয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন এখন তৃণমূল বিএনপির এক অপ্রতিরোধ্য মুখ।
ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখা এই নেতা বর্তমানে শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি কোনাপাড়া টেংগুড়ী দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। শিক্ষা ও রাজনীতিকে একসাথে ধারণ করে তিনি এলাকায় গড়ে তুলেছেন এক বলিষ্ঠ অবস্থান।
দলের যে কোন আদেশ মোবারক হোসেন চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করেছেন বুক চিতিয়ে। হরতাল, অবরোধ, মিছিল-মিটিং থেকে শুরু করে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন সর্বদা সম্মুখ সারিতে।
এই দীর্ঘ সময়ে একাধিকবার মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। হয়রানির ভয়ে বহুদিন ধরে নিজ বাড়িতেও রাত্রিযাপন করতে পারেননি। কিন্তু এসব প্রতিকূলতাও তার মনোবল ভাঙতে পারেনি।
তিনি শুধু একজন তৃণমূল নেতা নন, সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সালাউদ্দিন বাবুর বিশ্বস্ত সহচর ও কর্মী। বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি সাধারণ জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন দলের বার্তা।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা ও আদর্শ বুকে ধারণ করে তিনি শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপি আজও সক্রিয়, সংগঠিত এবং মাঠমুখী।
রাজনীতি ও শিক্ষকতার দ্বৈত পরিচয়ে মোবারক হোসেন এলাকায় পরিচিত একজন আলোকিত মানুষ। ইংরেজি বিষয়ে তার দক্ষতা ও শিক্ষাদান পদ্ধতি তাকে শিক্ষার্থীদের কাছে একজন প্রিয় শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তরুণ সমাজকে মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি সবসময় সচেষ্ট থাকেন।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের জনগণ মনে করেন, মোবারক হোসেনের মতো সাহসী, শিক্ষিত ও ত্যাগী নেতার প্রয়োজন আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বেশি। তৃণমূল রাজনীতিতে তার নেতৃত্ব ভবিষ্যতের বড় দায়িত্বে অবদান রাখতে পারে এমনটাই আশা করছেন তার সহকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
তিনি শুধু রাজনীতি বিদ নন তিনি একজন সাহসী নেতা, আদর্শ শিক্ষক এবং জনগণের কাছে একজন আশার প্রতীক।