মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নোটিশ :
Wellcome to our website...
শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতী এলাকার মসজিদ ও কবরস্থান ঘিরে মাদক সেবনের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠা ও কিশোর গ্যাং উপদ্রব।
/ ৯২ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতী এলাকার মসজিদ ও কবরস্থান ঘিরে মাদক সেবনের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠা ও কিশোর গ্যাং উপদ্রব।

আমিনুল ইসলাম:- শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতী এলাকার ভোলার বাগ, বড়টেক, মরিচ কাটা, মাজার রোড, কাঠাল তলা, ঢালিবাড়ি, ও মাতকের ছয় লাভ—এ সকল এলাকাজুড়ে বিশেষ করে ভোলার মসজিদের পেছনে, যেখানে মসজিদের জমিদাতা মরহুম আনোয়ার হোসেন এর কবর অবস্থিত, সেখানে প্রতিদিন ১০-১২ জনের একটি দল নিয়মিতভাবে মাদক সেবন করছে।

মসজিদের আড়ালে, কবরের পাশে এই অপকর্ম চালানো হচ্ছে, যা ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক মূল্যবোধকে মারাত্মকভাবে আঘাত করছে। স্থানীয় মসজিদ কমিটি এবং মরহুমের আত্মীয়স্বজন বহুবার মৌখিকভাবে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।হিরাগত কিশোর গ্যাং-এর উপস্থিতি বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।এলাকাবাসী এই চক্রের দাপট এবং হুমকির ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না।আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পান অনেকে, কারণ এতে পরিবারের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।অভিভাবকদের বারবার জানানো হলেও তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতী গ্রামে গড়ে উঠেছে মাদকের একটি নিরাপদ আস্তানা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোলার বাগ, বড়টেক, মরিচ কাটা, মাজার রোড, কাঠালতলা, ঢালিবাড়ি ও মাতকের ছয় লাভ এলাকাজুড়ে, বিশেষ করে ভোলার মসজিদের পেছনে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদকসেবীদের জমজমাট আড্ডা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মসজিদটির পেছনে অবস্থিত কবরস্থানে, মসজিদের জমি দাতা মরহুম আনোয়ার হোসেনের কবরের পাশেই চলছে এই মাদক সেবন ও বেচাকেনার কার্যক্রম। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা উপেক্ষা করে, মসজিদ ও কবরস্থানের মতো জায়গায় মাদক সেবনের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জমি দাতার পরিবার, মসজিদের মুসুল্লি ও এলাকাবাসী।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ১০ থেকে ১২ জন তরুণ এবং কিশোর বয়সী যুবক ওই স্থানে জড়ো হয়ে ইয়াবা, গাঁজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করছে বলে জানা গেছে। আশপাশের বাসিন্দারা অনেক সময় ধোঁয়ার গন্ধ ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পান। তারা অভিযোগ করেন, মসজিদ কমিটি ও মৃত আনোয়ার হোসেনের আত্মীয়রা বারবার নিষেধ করার পরও তারা কোনো কর্ণপাত করছে না।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাদকসেবীদের মধ্যে অনেকেই বহিরাগত এবং একটি কিশোর গ্যাং এর সদস্য। তাদের মধ্যে কিছু স্থানীয় দাপুটে পরিবারের ছেলেও আছে, যার কারণে এলাকাবাসী মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে, এমনকি ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

ভোলার মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বলেন,আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। কিন্তু নামাজের পর যখন দেখি কবরের পাশে মাদক সেবন হচ্ছে, তখন লজ্জা লাগে। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করা তো আমাদের দায়িত্ব, কিন্তু কিছু বলতে সাহস পাই না।

এলাকার কিছু সচেতন অভিভাবক বারবার বিষয়টি জানালেও অনেকে চোখ বন্ধ করে থাকছেন, যেন বিষয়টি দেখেনই না। পুলিশের দিক থেকে তেমন কোনো স্থায়ী বা নিয়মিত অভিযান দেখা যাচ্ছে না, যা মাদকসেবীদের সাহস জোগাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ওই স্থানে পুলিশি টহল জোরদার, মাদকসেবীদের গ্রেফতার, এবং কিশোর গ্যাং নির্মূল করতে বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। একই সঙ্গে তারা চান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষা করতে প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করুক।

Facebook Comments Box
শেয়ার করুন :
এই ক্যাটাগরির আরও খবর